কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগির কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিশকেকে ১৭ মে রাতের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে এই বিষয়ে যেকোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দূতাবাসের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে, যার মধ্যে পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমরা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগির বিশকেক সফর করতে বলেছি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ ও পাকিস্তানি-মিশরি ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। এদিকে স্থানীয়দের সহিংসতার কারণে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। আর এই সহিংসতা ছড়ানোর জন্য জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।