সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতা : পাঁচ ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল
আমলে নেয়া হয়নি একাধিক তাগাদাপত্র
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের চরম দায়িত্বহীনতার অভিযোগে পাঁচ ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। দরপত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পাদন করতে একাধিকবার তাগাদাপত্র দেয়ার পরও যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিধি মোতাবেক এসব ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এসব দরপত্রের প্রক্রিয়া যথার্থভাবে সম্পাদন করে সরকারি বিধি মতে পাঁচজন ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যাদেশ পাওয়ার পর তাদের অনুকূলে কার্যাদেশ দেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয়, কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিপুর উপজেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয় ও তাড়াশ উপজেলার গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ধীরগতি ও কাজ শেষ করার ব্যাপারে অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘদিন পরও এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের গড় হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। কাজের ধীরগতির কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সুষ্পষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়। এ বাস্তবতার নিরীক্ষে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ থেকে ওই সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার তাগাদাপত্র দেয়ার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত তা আমলে নেয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি অবসানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত সপ্তাহে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে দেয়া ওই সব প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সমূহের কাজ বাস্তবায়নের কোন সম্ভাবনা আর না থাকায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পসমূহের কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাধিক তাগাদাপত্র দেয়ার পরও তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়নি। সে কারণেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যাদেশগুলো বাতিল করা হয়েছে।