সিরাজগঞ্জে সোয়া ৬ লাখ কোরবানির গরু প্রস্তুত
খামারিদের লাভের আশা
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে গ্রামঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লাভের আশায় বিক্রির জন্য এসব পশু মোটা-তাজা করা হয়েছে। এরই মধ্যে হাটবাজারে কোরবানির গরু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ১৭ হাজার ১৩৪টি খামারে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এসব খামারে দেশি বিদেশি জাতের পশু রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার। এরমধ্যে ষাঁড় গরু ১ লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ গরু ৩৩ হাজার ৬০৫টি, গাভী গরু ১৫ হাজার ৭১৭টি, মহিষ ৩ হাজার ৬৮১টি, ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি ও ছাগল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫টি।
জেলার সবকয়টি উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্যা গবাদিপশুর খামার। বিশাল মুক্ত গো-চারন ভূমি ও বাথান রয়েছে। বেশি গো-খামার রয়েছে এ জেলার শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামঞ্চলে। খামার আর বাথানে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয় লাখ লাখ গবাদিপশু। আর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে এ জেলায় কাচা ঘাসের সহজলভ্যতার কারণে এখানকার পশুর চাহিদা বেশি। খামারিরা এখন দুগ্ধ উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটা তাজাকরণ করছেন। এ জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু যাবে সারাদেশে। এর বাজারমূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। অনেক খামারিরা জানান, গোখাদ্যের দাম বেশি ও প্রচণড গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচসহ গরুর রোগবালাই বৃদ্ধির কারণে চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কোরবানি পশু প্রস্তুত করতে খরচ বেশি হয়েছে। প্রতি বছরই গরু মোটাতাজা করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হয়। তবে খামার থেকেই বেশিরভাগ গরু বিক্রি করা হয়। গো-খাদ্যের দামসহ অনান্য খরচ বেশি হলেও লাভের আশা করছি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মো. ওমর ফারুক জানান, প্রতি বছর জেলায় কোরবানির ঈদে চাহিদার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পশু মোটাতাজা করেন খামারিরা। প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের পরার্মশ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। সরকারিভাবে দেশের সব সীমান্ত এলাকা সিল করা আছে। কোরবানির সময় কোনো পশু পাশের দেশগুলো থেকে আসার সম্ভবনা নেই। এজন্য খামারি ও প্রান্তিক পশু পালনকারীদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।