যখন তখন বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বজ্রপাত। জানেন কি? একটি সাধারণ বজ্রপাতের ফ্ল্যাশ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং প্রায় ৩০,০০০ এম্পিয়ারের বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। যেখানে সাধারণ বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বজ্রপাতে ঘরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস তেমনি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খারাপ হতে পারে একাধিক যন্ত্রপাতি। বাজ পড়ার সময় বাড়ির টিভি, ফ্রিজের প্লাগ খুলে রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু বজ্রপাতের সময় মোবাইল-ল্যাপটপ কি করবেন জানেন কি? বজ্রপাতের সময় শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলেই হবে না। প্লাগ ইন করা ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের থেকেও দূরে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজ পড়ার সময় দেওয়ালের প্লাগে লাগানো যে কোনো ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটই বিপজ্জনক, কারণ সেগুলো বাইরের তারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ যদি প্লাগ ইন করা থাকে বা চার্জ করা হয়, সেটাও সমান বিপজ্জনক। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের জন জেনসেনিয়াস বলছেন, সহজ জিনিস হলো, বাজ পড়ছে মানে বাড়ির ভেতরে থাকতে হবে। বাইরে নয়। এই সময় ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট প্লাগ থেকে খুলে নেওয়াই ভালো। শেষ বাজ পড়ার পর অন্তত আরও ৩০ মিনিট বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকে মনে করেন, মোবাইল ফোন বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে। তবে এটা ভুল ধারণা। বজ্র নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে না, তবে মোবাইলে বাজ পড়লে পুড়ে যাওয়ার বা গলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখান থেকেই ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কিছুই বজ্রপাতকে আকর্ষণ করতে পারে না। তবে তার, তারের বেড়ার মতো বস্তুতে বজ্র প্রবাহিত হতে পারে। মোবাইল ফোনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এ সময় ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইস ঘরের ভেতর রাখার চেষ্টা করুন। জানালা থেকে দূরে রাখাই নিরাপদ হবে।