জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের এক হাজার শহরের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আট শহর। যেখানে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৩০৯তম, আর চট্টগ্রামের অবস্থান ৭০৫তম। এতে ভারত, পাকিস্তান ও চীনের অনেক শহরের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর প্রথম স্থানে রয়েছে। গত মঙ্গলবার অক্সফোর্ড ইকোনমিকস ১৬৩টি দেশের ১ হাজার শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে শহরগুলোর মূল্যায়ন করা হয়েছে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। সেগুলো হলো অর্থনীতি, শাসনপদ্ধতি, জীবনযাত্রার মান, পরিবেশ ও মানবসম্পদ। বাংলাদেশের আটটি শহর এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় সার্বিকভাবে ঢাকার অবস্থান ৫৪০তম, চট্টগ্রামের অবস্থান ৮২৩তম, সিলেটের অবস্থান ৮৩৪তম, ময়মনসিংহের অবস্থান ৮৬৮তম, খুলনার অবস্থান ৮৭২তম, রাজশাহীর অবস্থান ৮৭৫তম, কুমিল্লার অবস্থান ৯৩৯তম এবং বগুড়ার অবস্থান ৯৫৩তম। আবার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বেশ কিছু সূচক রয়েছে। যেমন- অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয়েছে একটি শহরের জিডিপির আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু জিডিপি, কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য। এতে দেখা যায়, অক্সফোর্ড ইকোনমিকস অর্থনৈতিক তালিকায় ঢাকা শহরকে রেখেছে ৩০৯তম স্থানে, চট্টগ্রাম ৭০৫তম, সিলেট ৮০৩তম, ময়মনসিংহ ৭০৬তম, খুলনা ৯৪৬তম, রাজশাহী ৯৩৫তম, কুমিল্লা ৮৬২তম এবং বগুড়া ৯৫০তম অবস্থানে রয়েছে। সার্বিকভাবে প্রথম ১০টি শহরের তালিকায় বিশ্বের অন্যতম বড় শহরগুলোই স্থান পেয়েছে। তালিকায় আছে নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, স্যান হোসে, টোকিও, প্যারিস, সিডাটল, লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, মেলবোর্ন ও জুরিখ। প্রথম ৫০টি শহরের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের। এশিয়ার মধ্যে টোকিও ছাড়াও সিউল (৪১) ও সিঙ্গাপুর (৪২) আছে প্রথম ৫০টি শহরের তালিকায়। প্রথম ৩০০-এর মধ্যে ভারতের কোনো শহর স্থান পায়নি। দেশটির রাজধানী দিল্লির অবস্থান ৩৫০তম। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ শহরের অবস্থান ৫৭৮তম। তালিকায় একদম শেষ দিকে আছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের শহর সুলতানপুরের নাম।
সূত্র : ব্লুমবার্গ, হিন্দুস্তান টাইমস, অক্সফোর্ড ইকোনমিকস।