সুসংবাদ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সাফল্য

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

প্রবাসফেরত কৃষক মোস্তাকিম সরকার মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করে এক অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে বাণিজ্যিকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করছেন। একদিন পর পর জমি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ মণ শসা বিক্রি করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হবে।

জানা গেছে, মোস্তাকিম সরকার জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাততুর পহেলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম সরকারের ছেলে। ৪ বছর আগে তিনি সীমান্তবর্তী মোগড়া ইউপির ৩ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ শুরু করেন। মোস্তাকিম জানান, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা আবাদ করতে জমি ইজারা, পরিচর্যা, সেচ, বীজসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চারা রোপণের পর থেকে দেড় মাসের মধ্যে জমিতে শসার ভালো ফলন আসে। বর্তমানে একদিন পর পর ৩০ থেকে ৩৫ মণ শসা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শসার ভালো চাহিদা থাকায় পাইকারি দরে এক মণ শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করা হয়েছে। আশা করছি, ফলন ও বাজার দর ভালো থাকলে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, বাঁশের খুঁটি, নাইলন সুতা আর জিআই তার দিয়ে চারদিকে মাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ছোট বড় অসংখ্য শসা মাচায় ঝুলে আছে। যে দিকে তাকানো যায় শসা আর শসা। জানা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে পরিমিত জৈব সার দিয়ে সারি সারি বেড তৈরি করা হয়। পরে সারিবদ্ধ বেডগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। বেডে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচও তুলনামূলক অনেক কম হয়।

মোস্তাকিম সরকার আরো জানান, এ মাটিতে সবজি চাষ নিয়ে শুরুতে খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও নিজের সঠিকভাবে পরিচর্যায় উৎপাদনে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। সবজি চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, ফলন বৃদ্ধিতে সব সময় স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। মালচিং পদ্ধতিতে শসা আবাদ করে সত্যিই কৃষক মোস্তাকিম সরকার একজন আদর্শ কৃষককে পরিণত হয়েছেন।