মায়োপিয়া

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ আক্রান্তের সম্ভাবনা

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষের অভ্যাস সকালে ঘুম জড়ানো চোখেই মোবাইল হাতে নেওয়া। মিনিট দশ-পনেরো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি না দিলে যেন দিনই শুরু হয় না। এমনকি শৌচালয়েও অনেকের সঙ্গী হয় এই গ্যাজেটটি। কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা সবকিছুই এমন চলছে অনলাইনে। বিশেষত করোনার পর ছোট-বড় সবারই স্ক্রিন টাইম আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবের মতো গ্যাজেটের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ ক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে কমছে মানুষের দৃষ্টিশক্তি। বাড়তি স্ক্রিন টাইমের কারণে অনেকেরই দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে মায়োপিয়া বলে। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকা সবকিছু ঝাপসা দেখেন। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকসংখ্যক মানুষ মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হবেন। এই রোগে আক্রান্ত রোগী কাছের জিনিস দেখতে পারলেও দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়। মায়োপিয়া কেন হয়? বিভিন্ন কারণে মায়োপিয়া হতে পারে। তবে চিকিৎসকদের মতে, মায়োপিয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো সূর্যের আলোয় কম সময় কাটানো। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক আলো ভীষণ জরুরি। বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে রেটিনায় ডোপামিন নামক যৌগের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই যৌগ দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং মায়োপিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই শিশুদের দিনের আলো থাকতে থাকতে বেশি করে বাড়ির বাইরে সময় কাটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই অভ্যাস চোখ ভালো রাখতে বেশ কার্যকর।

মায়োপিয়ার উপসর্গ কী? মায়োপিয়ার বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো- ১. দূরের কোনো জিনিস একেবারে ঝাপসা দেখা। ২. দূরের কিছু স্পষ্ট দেখার জন্য চোখের পাতা কুঁচকে কাছাকাছি নিয়ে আসা। ৩. সারা ক্ষণ মাথাব্যথা করা। ৪. চোখে যন্ত্রণা। মায়োপিয়ার ঝুঁকি এড়াতে ফোন থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। ঘুম থেকে উঠে ফোনের পেছনে সময় ব্যয় না করে ঘরের বাইরে বের হোন। হালকা শরীরচর্চা করুন কিংবা হাঁটাহাঁটি করুন। শিশুরা স্কুল থেকে ফিরলে অবশ্যই তাদের কিছু সময় বাইরে খেলতে পাঠান। এতে চোখে সূর্যের আলো লাগবে। অবসর সময়ে ঘরে বসে ভিডিও গেম না খেলে ছুটির দিনে বেশি করে প্রাকৃতিক আলোয় সময় কাটান। শিশুকে নিয়ে সূর্যের আলোয় থাকুন। এতে চোখের উপকার হবে। শরীরও সুস্থ থাকবে।