সুসংবাদ প্রতিদিন
সিরাজগঞ্জে বাদামে কৃষকের হাসি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলে এবার চিনা বাদাম চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে এ লাভজনক চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য সময় উপযোগী। এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ পাচ্ছেন কৃষকরা। এবার ওই উপজেলার সৌদিয়াচাঁদপুর, উমারপুর, স্থল ও ঘোড়জানসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এই চাষাবাদ বেশি হয়েছে এবং এসব অঞ্চলের কৃষকের মধ্যে উন্নত জাতের ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ি চিনা বাদাম, বিতরণ করে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা স্থায়ী জাতের চেয়ে অধিক ফলনও পেয়েছে। এ কারণে কৃষকরা লাভজনক চিনা বাদাম চাষে ঝুকছে। স্থানীয় কৃষিবিদরা বলেন, চরাঞ্চলে বাদাম চাষে অল্প কিছু কীটনাশক ও অল্প খরচে বাদাম চাষ করা সম্ভব। এতে বাড়তি সেচ ও পরিচর্যার কোনো প্রয়োজন হয় না। কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহও বেশি দেখাচ্ছে এবং চরাঞ্চলের মাটি বেলে দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চীনাবাদাম ও দেশিও জাতের বাদামের ফলন ভালো হয়। এ চরাঞ্চলে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০০ কৃষকের মধ্যে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছে ওই কৃষি বিভাগ। এ কারণে লাভজনক বাদাম চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এবার বিঘাপ্রতি বাম্পার ফলন বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে এখন খরচ কম লাভ বেশি। বর্র্তমানে বাদাম ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে এবং খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ সিফাত জানান, চরাঞ্চলে কৃষকদের বাদাম চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বছর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং এখন বাজার ভালো থাকায় কৃষক খুশি। চরাঞ্চলের বেলে দো-আঁশ মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষ আরো বৃদ্ধি করতে চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।