ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জে বাদামে কৃষকের হাসি

সিরাজগঞ্জে বাদামে কৃষকের হাসি

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলে এবার চিনা বাদাম চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে এ লাভজনক চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য সময় উপযোগী। এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ পাচ্ছেন কৃষকরা। এবার ওই উপজেলার সৌদিয়াচাঁদপুর, উমারপুর, স্থল ও ঘোড়জানসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এই চাষাবাদ বেশি হয়েছে এবং এসব অঞ্চলের কৃষকের মধ্যে উন্নত জাতের ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ি চিনা বাদাম, বিতরণ করে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা স্থায়ী জাতের চেয়ে অধিক ফলনও পেয়েছে। এ কারণে কৃষকরা লাভজনক চিনা বাদাম চাষে ঝুকছে। স্থানীয় কৃষিবিদরা বলেন, চরাঞ্চলে বাদাম চাষে অল্প কিছু কীটনাশক ও অল্প খরচে বাদাম চাষ করা সম্ভব। এতে বাড়তি সেচ ও পরিচর্যার কোনো প্রয়োজন হয় না। কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহও বেশি দেখাচ্ছে এবং চরাঞ্চলের মাটি বেলে দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চীনাবাদাম ও দেশিও জাতের বাদামের ফলন ভালো হয়। এ চরাঞ্চলে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০০ কৃষকের মধ্যে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছে ওই কৃষি বিভাগ। এ কারণে লাভজনক বাদাম চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এবার বিঘাপ্রতি বাম্পার ফলন বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে এখন খরচ কম লাভ বেশি। বর্র্তমানে বাদাম ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে এবং খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ সিফাত জানান, চরাঞ্চলে কৃষকদের বাদাম চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বছর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং এখন বাজার ভালো থাকায় কৃষক খুশি। চরাঞ্চলের বেলে দো-আঁশ মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষ আরো বৃদ্ধি করতে চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত