জ্যৈষ্ঠের খরতাপে সারা দেশে পাকা শুরু করে রসালো আম, লিচুসহ নানা মৌসুমি ফল। চলতি বছরেও রাজধানীর ফলের দোকানগুলো সয়লাভ হয়ে গেছে মৌসুমি নানা ফলে। তবে এসব ফলের উচ্চদামের পাশাপাশি পরিপক্বতা নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের সংশয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একাধিক ফলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বাজারে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির আম ও লিচু। আম প্রকারভেদে ১২০ থেকে ২৫০ ও ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে লিচু জাত ও আকারভেদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশিতেও বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারগুলোতে কাঁঠালের জোগান খুব একটা চোখে পড়েনি। ক্রেতাদের দাবি, বাজারে ওঠা ফলের দাম খুবই বেশি। একই সঙ্গে ফরমালিনসহ কেমিক্যাল দিয়ে আম বা লিচু পাকানো হচ্ছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাদের। রয়েছে অপরিপক্ব ফল বিশেষভাবে পাকিয়ে বিক্রির অভিযোগও। ফলে আম মিষ্টি কম ও পানসে বলে দাবি তাদের। মগবাজারে একটি ভাসমান ফলের দোকানের ক্রেতা জায়েদ আহমেদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা লিচু পছন্দ করে। তাই কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি। আর দেখেও বিশেষভাবে পাকানো হয়েছে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে আম কিনেছিলাম, দোকানদার গাছপাকা আম বললেও খাবার সময় বেশ কয়েকটির আঁটি অপরিপক্ব দেখেছি। ফল কিনে বাচ্চাদের মুখে তো বিষ তুলে দিতে পারি না।’ সাহাবুদ্দিন নামে অপর ক্রেতা বলেন, ‘দুই দিন আগে একশ’ লিচু কিনেছিলাম। খাবার সময় তেমন মিষ্টি লাগেনি। আবার বিচিও পরিপক্ব মনে হয়নি। কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়গুলো মনিটরিং করা। আর দামের বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা। সবকিছুর দাম অতিরিক্ত বেশি।’ তবে ক্রেতাদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে আমণ্ডলিচুর জোগান এখনো তেমনভাবে আসেনি। তাই দাম কিছুটা বেশি। আর অপরিপক্ব কোনো কিছু বিক্রি করা হচ্ছে না। ক্রেতারা তো দেখেই কিনছে। মানিক নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা আড়ত থেকে কিনে আনি। অনেক সময় নিজেদের পরিচিতদের মাধ্যমে সরাসরি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কিনে আনছি। জোগান কম কিন্তু যেগুলো আছে তা ভালো মানের। এখনো সব জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ছয় থেকে সাত প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ ইত্যাদি।’