সিরাজগঞ্জে পিবিআই পুলিশের তদন্তে গৃহবধূ আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ স্বর্ণা খাতুনের আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ আত্মহত্যার প্ররোচনার সাথে জড়িত নিহত স্বর্ণা খাতুনের স্বামীসহ দুইজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী পূর্বপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হাসান আলীর সাথে একই এলাকার পশ্চিম গুপিরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে স্বর্ণা খাতুনের দুই বছর আগে বিয়ে হয় এবং পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরায় রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে এ বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়েকে স্বর্ণের গহনা দেয়ার কথা ছিল। এ গহনা দিতে দেরি হওয়ায় স্বামীর পরিবার স্বর্ণা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এ নির্যাতনের কারণে ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন গহনার টাকার জন্য তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে আত্মহত্যার প্ররোচনায় শিকার হয়ে স্বর্ণা খাতুন নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ অপমৃত্যু বলে চূড়ান্ত দাখিল করে। এ বিষয়ে নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে একটি নারাজি আবেদন করেন। আদালত নারাজি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন। পিবিআই পুলিশ তদন্তে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বর্ণা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায়।
স্বামী হাসান আলীকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং রফিকুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গত সোমবার রফিকুল ইসলাম কোর্টে হাজিরা দিলে তার জামিন না মঞ্জুর করে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে পিবিআই পুলিশের তদন্তে ওই গৃহবধূর আত্মহত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হওয়ায় নিহতের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা ন্যায় বিচারের আশাবাদী বলে দাবি করেন।