মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহানের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম। এ ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
গতকাল দুপুর ২টায় উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাশাটি এলাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন- এই চেয়ারম্যান প্রার্থী।
উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়ন থেকে তিনবার নির্বাচিত সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৫ জুন নান্দাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমিসহ চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। অন্যপ্রার্থীরা দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহান এবং মোটরসাইকেল প্রতীকে নজীমোল্লাহ লিটন। এই অবস্থায় বর্তমান সরকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশ অমান্য করে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহানকে দলীয় প্রার্থী বলে প্রচার করে পরিকল্পনা মন্ত্রী তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করছেন। এই বার্তা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহান এই ক্ষুদেবার্তা দলীয় নেতাকর্মীদের দেখিয়ে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলেও প্রচার করছে। সেই সঙ্গে যারা দোয়াত-কলমের পক্ষে কাজ করবে না তাদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এরইমধ্যে আমার ভাই চন্ডিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ভূইয়াকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহছমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়া। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের মাঠে পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি লিখিতভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ও জেলা আওযয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে চন্ডীপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ভূইয়া, ইউপি সদস্য মহসিন পাঠান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।