পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

সার্বজনীন পেনশন স্কিমণ্ডসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখা এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষক নেতারা।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কলমণ্ডবই নিয়েই ক্লাসরুমে থাকতে চায়। কিন্তু আরোপিত অন্যায় প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য যে প্রত্যয় স্কিম আরোপ করা হয়েছে, তা আমাদের পারিবারিক সুরক্ষা নষ্ট করছে। এই প্রত্যয় স্কিমের ফলে মেধাবীরা আর শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহী হবে না। যেখানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে বড় ইনভেস্টমেন্ট সেক্টর বলেছেন সেখানেই আজকে সবচেয়ে বেশি কর্তন করা হচ্ছে। শিক্ষা খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা চাই, স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মার্ট দেশ গড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। তিনি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকে সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাজেটে শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষাখাতের বাজেটকে কাটছাঁট করা হচ্ছে। তাই শিক্ষকরা আজ পাঠদান ছেড়ে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ২৮ মে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আগামী ৪ জুন সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা একযোগে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। আমরা আমাদের ওপর আরোপিত পেনশন-সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের প্রত্যাহার চাই। অন্যথায় শিক্ষকরা বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওহিদুজ্জামান, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কাউসার, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রহিম প্রমুখ।