চট্টগ্রামের বেশিরভাগ উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বেশিরভাগ উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ উপজেলায় ভেঙে পড়েছে গাছ ও ডালপালা। ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ পড়ে ছিঁড়ে গেছে তার। জানা যায়, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, লোহাগড়া, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী ও চন্দনাইশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক নেই।

বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে গতকাল সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো। এসব উপজেলায় সকাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই। কিছু কিছু উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও লোডশেডিং চরমে। এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চট্টগ্রামের মানুষ। নগরীর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, ওয়াসা, হালিশহর, অক্সিজেন, মাদারবাড়ি, বাকলিয়া, চন্দনপুরা, সররঘাট এলাকার মানুষও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন। জানা গেছে, ঝড়ের কারণে চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় ৭১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, ৯৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে, ৩৪৯ জায়গায় তার ছিঁড়ে গেছে, ২৫টি ট্রান্সফরমার ও ৩৩০টি মিটার নষ্ট হয়েছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সভাপতি চৌধুরী হাছান মাহমুদ আকবরী বলেন, তীব্র ঝড়ের কারণে আমাদের অধিকাংশ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে অসংখ্য জায়গায় গাছ পড়ে, তার ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার জন্য কারিগরি টিমসহ সবাই কাজ করছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাজের অগ্রগতি মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক করতে আরও সময় লাগতে পারে। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে বিদ্যুৎ অফিস ও সাব-স্টেশনে পানি ঢুকে পড়েছে। যার কারণে গতকাল সকাল থেকে হালিশহর, রঙ্গিপাড়া, শান্তিবাগ, রমনা ও শ্যামলী আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় ও এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নগরের বেশকিছু এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ চট্টগ্রাম দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বেশকিছু এলাকা সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন ভবনের নিচতলা এবং মিটার ইউনিট পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রাতে দুর্যোগের কারণে আমাদের লোড ৩৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। এখন সেটি ৬০০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা স্বাভাবিক অবস্থায় স্থিতিশীল হবে।