ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

ঝিনুকে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে বৈদিশেকি মুদ্রা অর্জন সম্ভব

ঝিনুকে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে বৈদিশেকি মুদ্রা অর্জন সম্ভব

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর পানিতে কিছু মানুষ ডুবছে আর উঠছে। কাছে গিয়ে বোঝা গেলো তারা নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করছেন। আদিবাসী, ক্ষত্রিয় এবং জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনই এর মধ্যে বেশি। ঝিনুক সংগ্রহকারীরা সবাই নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিদিনই নদীতে ঝিনুক তুলতে আসেন তারা। নদীর পানিতে ডুব দিয়ে ঝিনুক সংগ্রহ করেন। এসব ঝিনুক বাড়িতে নিয়ে কেউ রান্না করে খান আবার অনেকে বিক্রিও করেন। এই ঝিনুক দিয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অনেকে বাড়তি আয়ও করেন। ঝিনুক সংগ্রহকারীরা জানান এই ঝিনুক রান্না করে খেলে মাংসের মতো স্বাদ পাওয়া যায়। আর উপকার হিসেবে চোখের জ্যোতি ঠিক থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝিনুক শুধু চোখের জ্যোতিই ঠিক রাখে না, এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এছাড়া অ্যাজমা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে ঝিনুক। ঝিনুক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো মিনারেলস। কৃষ্ণা রানী বলেন, ঝিনুক মেরে কেউ কেউ হাঁস-মুরগিকে খাওয়ায়। আবার নিজেরাও খায়। আমরা নিজেরাই খাই। এই ঝিনুক আবার অনেকে বিক্রি করে। আমরা জানি এতে পুষ্টি হয়। চোখের জ্যোতি বাড়ে। আর খেতেও ভালো লাগে। একদম খাসির মাংসের মতো স্বাদ। প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বিষয়ে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেসিং এবং প্রিজারভেশন অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মারুফ আহম্মেদ বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী যারা শামুক-ঝিনুক খাচ্ছেন সত্যিকার অর্থেই তাদের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। কারণ, শামুক অথবা ঝিনুক প্রোটিনের একটি ভালো সোর্স (উৎস)। এই শামুক-ঝিনুক প্রোটিনের পাশাপাশি মিনারেলের একটি ভালো সোর্স। এতে বিশেষ করে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। শামুক-ঝিনুকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম। এটি হাই ব্লাডপ্রেসার ও অ্যাজমা কমাতে পারে। শামুক-ঝিনুক কেবল বাংলাদেশের মানুষই নয়, বহির্বিশ্বে যেমন- জাপান, কোরিয়া, চায়না ইত্যাদি দেশগুলোতেও খায়। এটি স্যুপ আকারে ও শুকিয়ে খাওয়া যায়। এই দেশে শামুক-ঝিনুক চাষ করলে বৈদিশেকি মুদ্রা অর্জনেরও সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত