ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউ ইয়র্কে গত বৃহস্পতিবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনীতে তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বর্ণনা করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। সেই কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বিবেচনা করি।’

দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা করেন। নিম্ন আয়ের দেশের সারি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করলে গুতেরেস এ বিষয়ে বিশ্ব সংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের ওপর সারা বিশ্বের নজর রাখাসহ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত