ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মৌলভীবাজারে বাঁধ ভেঙে ১৫০ পরিবার পানিবন্দি

মৌলভীবাজারে বাঁধ ভেঙে ১৫০ পরিবার পানিবন্দি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তিন দিনের টানা বর্ষণ, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ও উজানের পাহাড়ি ঢলে, দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির স্রোতে ধলাই নদ রক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ, নারায়ণপুর, চৈত্রঘাট, উবাহাটা ও সুরানন্দপুর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাসেল মিয়া ও মোঃ আব্দুর রহিম বাঁধে ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো পরিদর্শন করে এসেছি। ঠিকাদারকে দ্রুত সময় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া শমশেরনগর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকার আরও প্রায় ৫০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। দুই দিন ধরে এসব পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ায় কষ্টে জীবনযাপন করছে। গত মঙ্গলবার বিকালে ধলাই নদ রক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ ও নারায়ণপুর, উবাহাটা ও সুরানন্দপুর এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। গত বুধবার চৈত্রঘাট এলাকায় ভাঙনে নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায়। তবে দুই দিনেও নিম্নাঞ্চলে পানি না কমার কারণে কৃষির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এছাড়া বৃহস্পতিবারেও থেমে থেমে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পানি জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। পতনউষার ইউনিয়নের পানিবন্দি মোঃ কামাল মিয়া বলেন, আমরা দুই দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। আমাদের কেউ সহযোগিতা করেনি।

উপজেলার কৃষক মোঃ আনোয়ার খান বলেন, ঢল ও বন্যার পানিতে আমাদের আউশখেত, পেঁপে, বেগুনসহ শাকসবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলো সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যাবে।

পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ অলি আহমদ খান বলেন, নিম্নাঞ্চল এলাকার শতাধিক পরিবার দুই দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, পানিবন্দি পরিবারদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবারসহ সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত