কুমিল্লায় পুলিশের এক পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। কুমিল্লা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিয়াউল চৌধুরী কুমিল্লা জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে
ইন্সপেক্টর প্রশাসন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি একাধিকবার কুমিল্লা ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম ফারজানা হোসেন রিমা। জিয়াউল চৌধুরী ২০০৩ সালে সার্জেন্ট পদে যোগ দেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী একজন গৃহিণী।
দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে জিয়াউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফারজানা নামে অবৈধ ও আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন।
দুদকের পরিচালক ফজলুল হক গতকাল জানান পুলিশ ইন্সপেক্টর জিয়াউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী পরস্পর যোগসাজশে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলাতে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা তাদের সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও জাল হলফনামা তৈরি করে ২৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র উপহার হিসেবে দেখিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।
২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর জিয়াউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী মোট ৭ লাখ ১ হাজার ৯০২ টাকার স্থাবর এবং ৪০ লাখ ৫ হাজার ৪২৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৩২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন, যার মধ্যে জিয়াউল চৌধুরী তার স্ত্রীর নামে কুমিল্লা প্রধান ডাকঘরের ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় দেখিয়েছেন; যা তিনি মা ও শাশুড়ি কাছ থেকে পেয়েছেন। এ সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের উৎস বৈধ করতে গিয়ে হলফনামায় ভুয়া দলিল ব্যবহার করেছেন; যা দুদকের অনুসন্ধানে জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফজলুল হক বলেন, মামলার তদন্ত শেষে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।