প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অমর ফারুক সৌরভ (২৪) হত্যায় তার শ্বশুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঁইয়া বাকি অচিরেই আসামিদের গ্রেপ্তারের কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ইসরাত জাহান ইভার গত তিন বছর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল, তার স্বামী কানাডায় চলে যাওয়ায় আপন চাচাতো ভাই সৌরভের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। গত ৯ মে ঢাকার একটি বাসায় তারা বিয়েও করেন। বিষয়টি ইভার বাবা ইলিয়াস আলী মেনে নেননি। ১৬ মে ইভাকে কানাডায় পাঠিয়ে দেন। গত ১ জুন সৌরভ ইভার আগের বিয়ের সম্পর্কটি শেষ করার জন্য সাবেক শ্বশুরের সাথে দেখা করতে ময়মনসিংহ আসেন। বিষয়টি টের পেয়ে ইলিয়াস আলী তার ছেলে মৃদুলকে দিয়ে সৌরভকে বাসায় ডাকে। সৌরভ বাসায় গেলে ইলিয়াস আলী ও তার শ্যালক ফারুক প্রথমেই তাকে মাথায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর চাপাতি দিয়ে চার খণ্ড করা হয়।
পরে গাঙ্গিনারপাড় থেকে একটি নতুন লাগেজ কিনে সেই লাগেজে চার খণ্ডিত দেহ ভরে নদীতে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ গতরাতে ফারুককে ঢাকা থেকে এবং ইলিয়াস আলীকে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় সৌরভের দেহ বহনকারী প্রাইভেট কারের চালক আব্দুল হান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, সৌরভের পরিচয় যেন তারা শনাক্ত করতে না পারেন, সেই জন্য ইলিয়াস আলী সৌরভের হাতের আঙুল নষ্ট করে দেন। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানায় পুলিশ সুপার।