সুসংবাদ প্রতিদিন
নীলফামারীতে বাদাম চাষে বাড়ছে কৃষকের আগ্রহ
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী
অধিক লাভজনক হওয়ায় নীলফামারীতে বাড়ছে বাদামের চাষ। আবাদে নেই তেমন ঝুঁকি ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় গতবারের তুলনায় এবার চলতি মৌসুমে বাদামের চাষ বেড়েছে দিগুণ। স্বল্প খরচে এই ফসল লাভজন হওয়ায় জেলার কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যে জানা যায়, এবার জেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে, এ পর্যন্ত আবাদ ১ হাজার ১ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩৭৭ মে. টন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ। আলু উত্তোলনের পরপরই বাদাম চাষ করেছে কৃষক। এরমধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ২ হেক্টর, ডোমার উপজেলায় ৭৫০ হেক্টর, ডিমলা উপজেলায় ১৯০ হেক্টর, জলঢাকা উপজেলায় ৫৭ হেক্টর এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করছে কৃষক। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে তেমন কোন খাটুনি দিতে হয় না, অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামে রোগবালাই কম থাকায় হালকা কীটনাশক প্রয়োগে যথেষ্ট। বিগত বছর গুলোতে বাজারে বাদামের দাম ভালো পাওয়ার কারণে বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলার ডোমার, ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও জলঢাকা উপজেলার চরে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে। জলঢাকার বাদাম চাষি মতিউর বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এর পূর্বে এই জমিতে পাট চাষ করতাম। এখন বাদাম চাষ করি। প্রতি বিঘায় সব খরচাপাতি বাদে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়। ডিমলা উপজেলা চাষি বাদল মিঞা বলেন, ধানের চেয়ে বাদামে বেশী লাভ। কোনকিছু খরচ ছাড়াই বাদাম জমি থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে নিয়ে যায় শহরের ব্যবসায়ীরা। ডোমারের চাষি মঞ্জুর আলী জানান, বেশ কয়েক বছর থেকে বাদাম চাষ করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এনেছেন তিনি। তার বাদামের চাষ ও লভ্যাংশ দেখে এলাকার কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। মূলত চিলমারি, হাইব্রিড ও লরি জাতের বাদাম বেশি ফলন হওয়ায়, কৃষকরা এ জাতের বাদাম চাষ করে। এবার ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছে বলে জানান। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। বাদাম চাষ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলামের আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। খরচ কম, দাম বেশি, তাই বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে জেলার চাষিরা। তিনি আরো বলেন, তাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকতার্রা বাদাম চাষিদের জমিতে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।