পরীক্ষায় নকল ধরা পড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত সাজবুল ইসলাম ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের (২০১৬-২০১৭) শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতিক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পরীক্ষা চলাকালীন সময় নকল নিয়ে ধরা পড়েন ওই ছাত্রলীগ নেতা। জানা গেছে, নকল নিয়ে ধরা পড়া সাজবুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকাতার হোসাইনের কাছের অনুসারী পরিচয়ে ক্যম্পাসে দাপিয়ে বেড়ান। গত ৩ মে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ‘সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন ইসলাম’ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন নকল করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ সময় হাতেনাতে নকল ধরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার হল পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন। তিনি বলেন, নকলের দায়ে অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর খাতা বাতিল করা ও শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। পরীক্ষার হলে তাকে নকল করা অবস্থায় দেখা মাত্রই তার খাতা নিয়ে ফেলি আমি। পরে সেই খাতা পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই সেমিস্টারের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল ওদুদকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো ধরনের কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। অফিস চলাকালে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন তিনি। তবে তার অফিসে একাধিকবার যাওয়ার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যদি কোনো বিভাগে নকলের ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রথমে নকলের প্রমাণনসহ বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে সবকিছু যাচাই করার পর তা শৃঙ্খলা উপ-কমিটির কাছে পাঠানো হয়। শৃঙ্খলা উপ-কমিটিতে সবকিছু পর্যালোচনার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর জন্য শাস্তি সুপারিশ করে শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়। সবশেষে শৃঙ্খলা কমিটিতে শাস্তিদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক হলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ এবং অন্য সদস্যরা হলেন- কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম বলেন, বিভাগ থেকে যদি কোনো শিক্ষার্থীর নকলের বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আকারে না পাঠানো হয়, তাহলে এতে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো দোষ নেই, বিভাগের দোষ।