চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এ সময় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে চাতরি-চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের আনোয়ারা সেন্টার এলাকায় বাজেটকে স্বাগত জানানোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারীরা।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের ওপর হামলা হয়। ঘটনার পর আমরা সেখান থেকে চলে আসি। আমাকে এবং আনোয়ারার ওসিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন জানতে পারি, আবার হামলা হয়েছে। চৌমুহনী বাজার থেকে এসআরএফের (স্পেশাল রিজার্ভ ফোর্স) একটি গাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেটিতে হামলা ও ভাঙচুর করে। সেখানে আরো চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বিভাগের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা জানান, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে আনোয়ারায় টানেলের প্রবেশমুখে ভোজনবাড়ি নামে একটি রেস্টুরেন্টে মামলার ১ নম্বর আসামি মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। আসামি মোজাম্মেলসহ একাধিক নেতাকর্মী এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন। মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা মিলে আসামি মোজাম্মেলকে ছিনিয়ে নেন। এর মধ্যে কয়েকশ’ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে ধাক্কা দেন, লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং একপর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচণ্ডছয় রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
