মির্জা ফখরুল
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম প্রস্তাবিত (২০২৪-২৫ অর্থবছর) বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দলটি মনে করে, ‘প্রস্তাবিত এই বাজেট কালো টাকাকে সাদা করার বাজেট। কালো টাকায় ঢালাও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ‘কালো টাকায় ঢালাও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ব্যক্তির সঙ্গে যেকোনো কোম্পানিকেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কোনো সংস্থাই কালো টাকা সাদাকারীদের কোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারবে না। অর্থাৎ, দায়মুক্তি বা আইনি ছাড় দেওয়া হলো। এর ফলে সৎ ও বৈধ আয়ের করদাতাদের নিরুৎসাহিত এবং দুর্নীতিকে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হলো।’
‘দুর্নীতি করার এহেন লাইসেন্স প্রদান অবৈধ, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার বিধান বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক। এই পদক্ষেপ সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।’
তিনি বলেন, এই অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কিছু রাজস্ব আদায় হলেও এতে সার্বিকভাবে রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এ সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষদের শোষণের লক্ষ্যে একটি সাজানো হাতিয়ার মাত্র।
বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ লুটেরাদের কবলে। প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে অনেক বেশি। অথচ পুরো বোঝাটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের ওপরে। ঋণ ও ঘাটতিভিত্তিক বড় বাজেট অতীতে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি, আগামীতেও হবে না।