কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে বেড়েছে বিক্রি। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম। ভালোমানের মসলা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিলি বাজারে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। দাম বেশি হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুরের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত হিলি সীমান্ত। হিলি সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এখানে খুব সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের মসলা। আর কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে বিক্রি। বর্তমানে নিম্নমানের জিরা ৯০০ টাকা এবং ভালো মানের জিরা কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সাদা এলাচ, কালো এলাচ, লবঙ্গ ও কিশমিশের দাম। সাদা এলাচ প্রতি কেজি ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালো এলাচ কেজিপ্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ করে দাম বেশি হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে মসলা কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা হিলি বাজারে মসলা কিনতে এসেছি। হিলিতে মসলার দাম অনেকটাই কম; কিন্তু এসে দেখি শুধু জিরার দাম কম, এছাড়া সব মসলার দামই বেশি। তবে হিলিতে এসে বিভিন্ন রকমের মসলা দেখে কিনা যায়। যার জন্য হিলিতে আসা। হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতারা বলেন, সামনে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হিলি বাজারে মসলা বিক্রি শুরু হয়েছে। আগের থেকে বর্তমানে বেশি পরিমাণ মসলা বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের দোকান খোলা থাকে। বর্তমানে চাহিদা বেশি থাকার কারণে মসলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের থেকে এ বছর ভালো ব্যবসা আসা করছি। হিলি স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারকরা বলেন, চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনেকটাই বেড়েছে জিরার আমদানি। আগে সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ ট্রাক জিরা আমদানি হতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এখন তা সাত থেকে আট ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। এসব জিরা আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। প্রতি কেজি জিরার শুল্ক দিতে হয় ২৩৩ টাকা। আমদানি বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে জিরার দাম কমেছে।