রাজধানীতে কনস্টেবল খুন
আমাদের গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কূটনীতিক এলাকা বারিধারায় পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে আরেক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় নিজেদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত শনিবার মধ্যরাতে বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। এ ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি কথাকাটাকাটি এরপর গুলি, তার কাছে এসএমজি ছিল। এসএমজি দিয়ে ফায়ার ওপেন করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ঘটনা শুনে আসলেই আমরা সবাই বিচলিত হয়েছিলাম- এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবল কে কেন হত্যা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে, মামলা হয়েছে। তিনি (খুনি কনস্টেবল) এখন রিমান্ডে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন যেটাই বলবো অনুমান ভিত্তিক কথা বলব কিংবা কারো কথা শুনে কথা বলব। তদন্ত শেষেই সম্পূর্ণ জিনিসটা আমরা আপনাদের বলতে পারব।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা শুনেছি, হয়তো তার পারিবারিক কোনো অসুবিধা থাকতে পারে বা অন্য কোনোকিছু থাকতে পারে। কাজেই এখনই সুনির্দিষ্টভাবে কোনোকিছু আমরা বলতে পারছি না।
‘আমরাও উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, একজন পুলিশের কাছে অস্ত্র ছিল, কী এমন কারণ ঘটেছিল তাকে ফায়ার ওপেন করতে হয়েছে। আমরা অবশ্যই এ বিষয়ে তদন্ত করব। কেউ ইচ্ছাকৃত এ ঘটনা করে থাকে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে, কিংবা কেন ঘটেছে- এগুলো সবই আমরা দেখব’ - বলেন মন্ত্রী।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এর মূল মোটিভটা, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে। এজন্য কী করণীয়, সবকিছু নিয়েই আমরা বসব। বসে আমরা দেখব কোনো জায়গায় আমাদের গাফিলতি ছিল কি না।’
মনিরুলের বাড়িতে শোকের মাতম
রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিক পাড়ায় সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুল হকের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। শোকে বিহ্বল স্বজন-প্রতিবেশীরাও। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে মনিরুল হকের মরদেহ। তিনি বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মাস্টারের ছেলে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ছোট মনিরুল। গতকাল সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে মনিরুলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।