ঢাকা ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে ভূমিমন্ত্রী

নাগরিকসেবা গ্রহণ করতে এসে গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়

নাগরিকসেবা গ্রহণ করতে এসে গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়

ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি অফিসে নাগরিক সেবা গ্রহণে বহু গ্রাহক আসবেন। তারা সেবা নিতে এসে যেন হয়রানির শিকার না হয়। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে না ঘুরিয়ে জটিল সমস্যা সুন্দর করে সমাধান করবেন। কোনোভাবেই নাগরিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করা যাবে না। সুন্দর করে বুঝিয়ে বলবেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামণ্ডসংলগ্ন জিমনেসিয়ামে ভূমি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ : স্মার্ট ভূমিসেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, এসিল্যান্ডের কাছে গেলে প্রত্যেক নাগরিককে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। প্রথমে তাকে বসতে দেবেন।

মনে রাখতে হবে, আপনারা নাগরিকের সেবক। নাগরিকের টাকায় আপনাদের বেতন-ভাতা হয়। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। এ সুন্দর চট্টগ্রামকে আরো সুন্দর করে সাজাতে চাই। আপনাদের সবাইর সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেছেন, দেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তিনি কথা রেখেছেন, চট্টগ্রামকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হচ্ছে। নদী, পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণের বিষয়ে কঠোর বার্তা দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নদী সংরক্ষণ করতে হবে। কোনোভাবেই নদী বা নদীর আশপাশ ভরাট করা যাবে না। আমরা এসব বিষয় তীক্ষè সৃষ্টিতে দেখছি। আমাদের পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি জমির শ্রেণি কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। ফসলি জমি ও কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন কঠোরভাবে রোধ করতে হবে। যেভাবে কৃষি জমি চলে যাচ্ছে, ৫০ থেকে ৭০ বছর পর আর কোনো কৃষি জমি থাকবে না। তাই আমাদের সজাগ হতে হবে। কোনোভাবেই যাতে মাটি ভরাট করে কৃষি ও ফসলি জমি নষ্ট করা না হয়। তিনি বলেন, জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না হলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব না। আমরা সবাই একে অন্যের সমালোচনা করি। কিন্তু নিজের সমালোচনা কেউ করি না। নিজের সমালোচনা নিজে যদি করি তাহলে অনেক কিছুর পরিবর্তন আসবে। বহুতল বিশিষ্ট ভবনে বসবাস করলেই শান্তি আনে না। সবাই মিলে সুষ্ঠু পরিবেশে বসবাস করাটাই শান্তির। আমরা চাই পরিচ্ছন্ন একটি সমাজ ব্যবস্থা। মন্ত্রী বলেন, ভূমি-সংক্রান্ত যে জটিলতা সেগুলো আমরা নিরসন করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও ভূমির অনেক বিষয়ে জানি না। তাই নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ভূমি-সংক্রান্ত বেশকিছু বিষয় রাখা হয়েছে, যাতে অন্তত নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও ভূমি-সংক্রান্ত একটি ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ভূমি সপ্তাহ উদযাপন করেই বসে থাকলে চলবে না। সব অফিসেই আমাদের সারাবছর ভূমি-সংক্রান্ত ভূমিসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আমরা জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়েও ভূমি-সংক্রান্ত সকল বিষয় হাতে-কলমে শেখাতে চাই। অনলাইনে ভূমি-সংক্রান্ত সকল কাজ করার ব্যবস্থা আমরা করেছি। একজন গ্রাহক ঘরে বসেই ভূমি-সংক্রান্ত সকল সেবা নিতে পারবে। বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুধু ভূমি বা জমির মালিক হলেই হবে না। সেটির বৈধ মালিকানা থাকতে হবে। মামলা জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে যে পরিমাণ জমির দাম তার চেয়ে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে জমিটি উদ্ধার করতে। যার কারণে তৈরি হচ্ছে মানসিক অশান্তি।

আমাদের ভূমি সংক্রান্ত আইন জানতে হবে এবং সে আইন মানতে হবে। জমি কেনার সময় সমস্ত কাগজপত্র সঠিক কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। যাতে এ জমি কেনার পর কাগজপত্র নিয়ে জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।

তিনি আরো বলেন, একটা চক্র সৃষ্টি হয়েছে যারা জটিলতাপূর্ণ জমি ক্রয় করছে কম দামে। পরে সেগুলো বিভিন্নভাবে জমির প্রকৃত মালিককে হয়রানি করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি-সংক্রান্ত সব সেবা অনলাইনে নিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত