সুস্থ পশু চেনার উপায়

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বছর ঘুরে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানরা এই ঈদে পশু কোরবানি করে থাকেন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। অনেকেই কিনছেন পছন্দের পশু। কোরবানির উদ্দেশ্যে কেনা পশু সুস্থ-সবল হওয়া চাই। কোরবানির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ গরু। অনেকে ছাগলও কোরবান দিয়ে থাকেন। আবার উট, ভেড়া, দুম্বার মতো পশুও কোরবানির উপযুক্ত। পশু কেনার সময় ছোটোখাটো কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সুস্থ পশু কেনা যায়। চলুন বিস্তারিত জানা যাক কোরবানির জন্য গরুর বয়স কমপক্ষে ২ বছর হতে হয়। গরুর দাঁত দেখে বয়স বিচার করা যায়। উটের ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে পাঁচ, ভেড়া ও ছাগলের ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছর যেন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পশু সর্বদাই লেজ নাড়িয়ে মশা-মাছি তাড়াতে ব্যস্ত থাকবে। সুস্থ পশু কিছুক্ষণ পর পর নড়াচড়া করবে। খাবার খেতে দিলে স্বাভাবিকভাবে খাবে এবং অবসরে জাবর কাটবে। অসুস্থ গরু কিছু খেতে চাইবে না। এমন গরুর মুখ থেকে সবসময় লালা ঝরতে থাকবে। পশুর শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে, অস্বস্তিতে ছটফট করবে না। সুস্থ পশুর চোখ বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। নাকের নিচের কালো অংশ (মাজল) ভেজা ভেজা থাকবে। দেখে মনে হবে বিন্দু বিন্দু শিশির জমেছে। এছাড়া সুস্থ পশুর পিঠের ওপরে থাকা কুঁজ মোটা ও টানটান থাকে। সম্ভব হলে পশুর প্রস্রাব ও গোবর স্বাভাবিক কি না, তা যাচাই করে নিন। গর্ভবতী পশু কোরবানি দেওয়া যায় না। পশু কেনার আগে এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন। দেশীয় গরু কেনার চেষ্টা করুন। কেন না, সীমান্ত পার হয়ে আসা গরুগুলো অনেক দূর থেকে আসে বলে ক্লান্ত হয়। অনেক সময় এসব পশু ছোটখাটো আঘাতপ্রাপ্তও হয়। দুর্বল গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কষ্টকর। পশু কেনার আগে শরীরের কোথাও ক্ষত আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। শিং ভাঙা কিনা, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর সব কিছুই পরীক্ষা করে দেখুন, কোনো ত্রুটি চোখে পড়ে কিনা। এগুলো লক্ষ্য করলেই খুব সহজে সুস্থ পশু চিহ্নিত করতে পারবেন। গরুর মাংসল স্থানে আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিন। রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফোলা থাকে। শরীরে পানি জমায় বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে। কিন্তু সুস্থ গরুর শরীরে চাপ দিলে সঙ্গে সঙ্গেই আগের অবস্থানে চলে আসে। গরু কেনার সময় শরীরের তাপমাত্রা দেখে নিন। স্বাভাবিক হলে গরুটি সুস্থ। আর যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ। অভিজ্ঞ পশু ক্রেতাদের মতে, দিনের আলো থাকতে থাকতেই কোরবানির পশু কেনা উচিত। রাতের বেলা সব বিষয় ঠিকঠাক যাচাই করা সম্ভব নাও হতে পারে।