ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীর বাজারদর

সবজি মুরগির দাম কমলেও কাঁচা মরিচের বাজার চড়া

সবজি মুরগির দাম কমলেও কাঁচা মরিচের বাজার চড়া

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ায় গ্রীষ্মকালীন প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন দাম লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০ টাকা কমে ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ কম থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে এসব বাজারে সব ধরনের সবজি দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, সজিনা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে শসার ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মূলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৮৫ টাকা আর আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, চাষের পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি আকার ভেদে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৪০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বিআর থেকে আটাশ ৫৫ থেকে থেকে ৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮৫ টাকা।

বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশি ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা। এসব বাজারে ঈদকে সামনে রেখে আদা ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত