চলতি বছরে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। হজের পর এবার দেশে ফেরার পালা হাজিদের। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। সৌদির স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় হাজিদের নিয়ে মদিনা থেকে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। আগামী ২২ জুলাই ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে।
এখন পর্যন্ত হজ পালনে গিয়ে ২১ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় চারজন এবং মিনায় একজন মারা যান।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৫ হাজার ২৫২ জন সৌদি আরব যান। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। আজ হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আসবে। আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই। প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে সৌদি আরবের মক্কায় চলতি বছরের হজে মৃত্যু হয়েছে ৫৫০ জনেরও বেশি হজযাত্রীর। সৌদিতে তীব্র দাবদাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন এবং পরে চারজন। গতকাল বুধবার হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় চারজন এবং মিনায় একজন মারা গেছেন। হজের আনুষ্ঠানিকাত শুরুর পর যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. আলমগীর হোসেন খান (৭৩), গত ১৬ জুন মিনায় মারা যান। বাকি তিনজনের নামণ্ডপরিচয় এখনো জানা যায়নি। হজ ডেস্কে তথ্য মতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুইজন মারা যান। তারা হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।