ইলিশের মৌসুম হলেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে খুবই কম। তবে দক্ষিণাঞ্চলের আমদানি করা ইলিশে কিছুটা সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। একজন ব্যবসায়ী তার আড়তে আমদানি করেছেন ২০০ মণ ইলিশ। গতকাল বিকালে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে আমদানি করা ইলিশের বড় বড় স্তূপ। এসব ইলিশ বাচাই করে আড়তের সামনেই পৃথক স্তূপে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তোফায়েল মাঝিসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ২০০ মণ ইলিশ বিক্রির জন্য ভোলার চরফ্যাশন থেকে নিয়ে এসেছেন এই আড়তে। বাজারে অর্ধশত আড়ত থাকলেও স্থানীয়ভাবে ইলিশ কম পাওয়ায় কিছুটা নিরিবিলি সময় কাটাচ্ছেন অন্য মাছ ব্যবসায়ীরা। আর ২০০ মণ ইলিশ আমদানি করায় খুবই চাঙা মেসার্স এসএম মামুন ট্রেডার্সের। এই আড়তের স্বত্বাধিকারী হাজী মালেক খন্দকার। তিনি বলেন, আমার আড়তের ইলিশগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছে। এখানকার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের মধ্যেই এসব ইলিশ বিক্রি হবে। ঈদের এই সময়টাতে আপাতত আমদানি ইলিশের স্থানীয়দের চাহিদা মিটবে। মালেক খন্দকারের সামনে খুচরা বিক্রি হয় ইলিশ। ওই বিক্রেতা জানান, এক কেজি ওজনের বেশি প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৫০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৪৫০ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসার্স মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, আজকে স্থানীয় ইলিশ খুবই কম এসেছে। মালেক খন্দকারের আড়তে এসেছে প্রায় ২০০ মণ ইলিশ। তবে দাম আগের চাইতে তুলনামূলক কিছুটা কম। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে ইলিশের আমদানি বাড়ে। চাঁদপুরেও সামনে বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা এ বছর জাটকা সংরক্ষণের কাজটি সফলভাবে করেছি। এটির সুফল সামনে পাওয়া যাবে।