ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কম খরচে অধিক লাভবান সবজি হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলা চাষাবাদ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষিদের নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সবজি চাষি নুর মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অনান্য ফসলের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তিনি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে করেছেন করলার চাষ। গত একমাসেই তিনি ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক মাসে আরো ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তার মতো এমন আরো অনেক চাষি উপজেলায় এ বছর করলার চাষ করেছেন। কাকিনা ইউনিয়নের আরেক চাষি সুমন মিয়া বলেন, আমি আমার ১৫ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে করলার চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পেয়েছি। আমার পরিবারের মুখে এখন খুশির হাসি। করলা চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধান, গম, শাক সবজির চাষাবাদ করি। কৃষিকাজ করেই আমার জীবন জীবিকা চলে। এ বছর গত এপ্রিল মাসে আমি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে উন্নতজাতের করলা চাষ করি। ৩৫ দিন পরে ফলন আসে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি করলা বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। এই মৌসুমে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবো বলে আশা করছি। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার চলবলা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন কৃষক করলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হয়েছেন চাষিরা। ফলনের শুরুর দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে করলা। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তুষার কান্তি বলেন, করলা একটি অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে করলা চাষিদের নিয়মিত সুপরামর্শ দিয়ে আসছি। ক্ষতিকর পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার শিখিয়েছি। অনান্য সবজির পাশাপাশি করলা চাষে ভালো দাম পেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। করলা চাষে লাভবান হয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় চাষিদের সঙ্গে আছি। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত