পবিত্র ঈদুল আজহার প্রভাব পড়েছে গরুর মাংস বিক্রিতে। কোরবানি ঈদের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য রাজধানীর গরুর মাংসের দোকানগুলো। আবার অনেক মাংস বিক্রেতা ঈদের পর দোকানই খুলেননি। তবে চাহিদা কম থাকলে প্রভাব পড়েনি গরুর মাংসের দামে। এখনও ৮০০ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন রাজধানীর মগবাজার ও মালিবাগ বিভিন্ন গরুর মাংস দোকান ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন মগবাজার চারুলতা মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বাজারের সবকয়টি গরু ও খাসির মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। কোরবানি ঈদ পরবর্তী সময়ে ক্রেতা তেমন না থাকায় দোকান বন্ধ রয়েছে বলে জানান পাশের দোকানিরা।
বন্ধ দোকানগুলোর একটি হাসান মিট শপ। সেটির পাশের দোকানি জানান, কোরবানি ঈদে এলাকার অনেক মানুষ বাড়ি চলে গেছে। যারা আছে তারা হয় কোরবানি দিয়েছে, নয়তো আত্মীয়-স্বজনের থেকে মাংস পেয়েছে।
এ অবস্থায় তেমন ক্রেতা নেই বললেই চলে। তাই সম্ভবত দোকান বন্ধ। প্রতিবছর কোরবানি ঈদের পর কয়েকদিন বন্ধ থাকে। মালিবাগ ডিআইটি রোডের খোরশেদ গোশত বিতানে সাধারণ অবস্থায় ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও এদিন কোনো ক্রেতা চোখে পড়েনি। তবে দোকান কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ক্রেতা রয়েছে। দোকানের মাংস ওজনের দায়িত্বে থাকা হালিম মিয়া বলেন, আমাদের ক্রেতা রয়েছে।
তবে ঈদের আগে তুলনায় কিছুটা কম। স্বাভাবিক অবস্থায় সাত থেকে আটটি গরু জবাই করা হতো। এখন দিনে তিন থেকে চারটি গরু জবাই করা হচ্ছে। তবে গরুর মাংসের চাহিদা ও ক্রেতা কম থাকলেও দামের উপর তা কোনো প্রভাব ফেলেনি। এখনো কেজিতে ৮০০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এ বিক্রেতা।