প্রায় ৫০ বছর আগে পাকিস্তান আমলে নির্মিত হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে দিনাজপুর (জিআরপি) থানা, ভবনটি বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ এই থানায় কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪৫ জন পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামের জন্য সেই সময়েই নির্মিত হয় বিশ্রামাগার, পুলিশ ব্যারাক। থানা নির্মাণ করলেও যানবাহন চলাচলের জন্য নেই কোনো রাস্তা, ডিউটিরত অফিসার ইনচার্জ এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলরা বাধ্য হয়েই প্লাটফর্মের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে হয় তাদের। কারণ দিনাজপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানাটি একেবারেই অবরুদ্ধ, যানবাহন যাতায়াতের কোনো রাস্তাই নেই সেখানে। রেলওয়ে বিধান অনুযায়ী প্লাটফর্মের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, এ নিয়ে তাদের জনসম্মুখে কটাক্ষ সহ্য করতে হয় কর্মরতদের। সেই সঙ্গে (জিআরপি) থানা ও পুলিশ ব্যারাকটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, ছাদে ও দেওয়ালগুলোতে মারাত্মক ফাটল, চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ে, মাঝেমধ্য ছাদের ঢালাই ও ওয়াল থেকে প্লাস্টার সিমেন্ট খোসে পড়ে, যে কোনো সময় ঘটতে পারে জীবনহানিসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা। এইভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করতে হয়, পুলিশ কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের। আর এই করুণ অবস্থা চলছে পাকিস্তান আমলের পর থেকেই। কারণ রিপিয়ারিং করা ছাড়া নতুনভাবে আর কক্ষনোই নির্মিত হয়নি (জিআরপি) থানা ও পুলিশ ব্যারাক। দিনাজপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হক জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমিসহ পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে হচ্ছে, একটু বৃষ্টি হলেই পানি চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে, আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। পুলিশ ব্যারাকের একই অবস্থা, আতঙ্কে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারে না বিশ্রামে থাকা পুলিশ সদস্যরা। অপরদিকে থানা ও পুলিশ ব্যারাক থাকলেও যানবাহন নিয়ে চলাচলের নেই কোনো রাস্তা, প্লাটফর্মের পশ্চিম তীর দিয়ে যানবাহন নিয়ে পায়ে হেঁটে অফিস আসতে হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে দিনাজপুর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তা নারায়ণ প্রসাদ সরকার জানান, ৫০ বছর পূর্বে (জিআরপি) থানা অফিস ও পুলিশ ব্যারাক নির্মিত হয় বর্তমানে এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ মাঝেমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে তারাই রিপিয়ারিং করে নেয়। আমার জানা মতে, নতুনভাবে আর কোয়ার্টারগুলো নির্মাণ করা হয়নি। কোয়ার্টার ভেঙে নতুন করে নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ-অনুমতি পেলে অবশ্যই নির্মাণ করা হবে। দিনাজপুর রেলওয়ে থানা কার্যালয় ও পুলিশ ব্যারাক নতুনভাবে নির্মাণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দিনাজপুর জেলাবাসী।