ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ হাসিনার সফরের প্রতীক্ষায় রয়েছে চীন

বললেন লি জিয়ানচাও
শেখ হাসিনার সফরের প্রতীক্ষায় রয়েছে চীন

আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লি জিয়ান ছাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লি জিয়ানচাও বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের জন্য প্রতীক্ষায় রয়েছে চীন। এ সফর সফল করার জন্য উভয়পক্ষ কাজ করছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি। চীনা মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করবেন। এ সফরের জন্য আমরা প্রতীক্ষায় রয়েছি। সফর সফলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনা পক্ষ একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ৫০ বছরের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা দুই দেশই আরো গভীরভাবে সম্পৃক্ততা চাই। অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইত্যাদি খাতে দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে এসব বিষয়ে ফলাফল বয়ে আনবে। চীন বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও জানান চীনা মন্ত্রী। এদিকে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮-১১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সামনে প্রধানমন্ত্রীর সফরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে, সেটি আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা এই সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। চীনা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে হাছান মাহমুদ জানান, চীন আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং বড় বাণিজ্য সহযোগী। আমরা বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা চীন থেকে ইমপোর্ট করি প্রায় ১৩ বিলিয়ন। আর এক্সপোর্ট করি পৌনে ১ বিলিয়ন। আমরা বলেছি, ওষুধ, চামড়া ও সিরামিক পণ্যগুলো তারা আমাদের কাছ থেকে নিতে পারে। বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফরে যাবেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা চেয়েছি। আমরা গাজা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছি। এ ব্যাপারে চীন অ্যাকটিভ রোল প্লে করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি।

যেকোনো ফরমেটে বাংলাদেশকে ব্রিকসে যুক্ত করতে চীনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি- মেম্বার কান্ট্রি বা পার্টনার কান্ট্রি যেভাবেই হোক, সেটা নিয়ে তাদের সমর্থন চেয়েছি।

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের বিনিয়োগ যেন বাংলাদেশে আরো আসে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। চীনা মন্ত্রী আমাদের দেশে আরো বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল পরে চীন সফর করবে- জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের জুনিয়র নেতারা চীন সফর করেছেন। দলের সিনিয়র মেম্বাররাও যাবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত