দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। এ মসজিদগুলোতে প্রায় ১৭ লাখ ইমামণ্ডমুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছে। তার মধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে প্রদান করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানি প্রদান করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের পর্যায়ক্রমে সম্মানির আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ন্যূনতম ৫ হাজার ৫০০ জনকে ৪ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এছাড়া, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার- এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সর্বমোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ট্রাস্টের আয় বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটাবেইজ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।