ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে জনসাধারণ একাত্ম হবে

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে জনসাধারণ একাত্ম হবে

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায় নিতে প্রথম দফায় তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন তারা অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মুক্তির কথা বলেছেন।’ গতকাল বুধবার দুপুরে দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। গত ২৩ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। তার এরকম শারীরিক অবস্থায় মুক্তি আন্দোলন কেন করতে যাচ্ছেন তার করার ব্যাখ্যা দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করা হবে। আমরা এই মুক্তির আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আপনারা জানেন, কিছুদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে আসতে হয়। এবার যে তিনি এসেছিলেন আল্লাহর অশেষ রহমতে যে তাকে আমরা ফিরে পেয়েছি। তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কঠিন ছিল যদি ঠিক সময়ের মধ্যে যদি ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারতেন। এই অবস্থার মধ্যে আমাদের চিকিৎসকরা বার বার বলেছেন- তাকে বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নেওয়া উচিত। কিন্তু সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এজন্য বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার।’ এই আন্দোলনের সাথে জনগণকে নিয়ে করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দাবি জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করছি। আমরা জনগণের কাছে প্রত্যাশা করব, জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার প্রাণ রক্ষা করা, তাকে মুক্ত বাতাসে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে এবং তারা আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া কে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সরকার আটক করে রেখেছে। এটা আইন বিরোধী, এটা সংবিধান বিরোধী। আপনার যেকোনো সাধারণ একজন মানুষের যদি ৫ বছরের সাজা হয় সে সাথে সাথে জামিন পেয়ে যায়। আপনি এরই মধ্যে দেখেছেন, আমাদের দলেরই নেতারা অনেকে আছেন, যাদের ১৩ থেকে ১৪ বছর সাজা হয়েছে তাদেরকে জামিন দেয়া হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের এই ধরনের সাজা হওয়ার পর তাদের প্রত্যেকটা মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, এমপি নমিনেশন পেয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারেই এটার মানে হচ্ছে এরা (সরকার) বিধানটাকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন। আপনি জামিন দিতে পারবেন না- এরকম কোনো বিধান নাই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তার প্রাপ্য, এটা সাংবিধানিক অধিকার। এখনো উনার মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেইন্ডিং আছে। সুতরাং, এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যে, তারা (সরকার) তাদের পরিকল্পিতভাবে তাকে কারাগারে আটক করে রাখছে, সেটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আপনি দেখবেন কারা কারা জামিন পারে। সেখানে আছে বয়স্ক মহিলা, অসুস্থ মানুষ তারা জামিন পাওয়ার অধিকার রাখে, যত বড় মামলাই হোক।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত