ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবনের মধু

দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় জিআই মর্যাদা হারিয়েছে

দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় জিআই মর্যাদা হারিয়েছে

প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধু ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) মর্যাদা বাংলাদেশ হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল বুধবার দুপুরে সংস্থাটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)’ শীর্ষক একটি মিডিয়া ব্রিফিং এ কথা বলা হয়। সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মেইড ইন বাংলাদেশে যেতে হলে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে মেধাস্বত্বে সুরক্ষা দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আসে না তার অন্যতম একটি বড় কারণ হলো মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগ না থাকা। বাংলাদেশে হাজার হাজার ফ্রি-ল্যান্সার আছেন। তারা অ্যাপসহ অন্যান্য পণ্য তৈরি করেন। তাদের পণ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা কী? তিনি বলেন, অর্থনীতির জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার (আইপিআর) সুরক্ষা ও এ-সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বিশ্বের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব আইনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।

মূল প্রবন্ধে সিপিডি বলেছে, সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহীত হয়। অন্যদিকে ভারত সুন্দরবন থেকে তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করে থাকে। এ হিসেবে বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধু ভৌগোলিক পণ্যের দাবিদার। দেবপ্রিয় বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি কিংবা সুন্দরবনের মধু নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আলোচনা নেই। দক্ষতা, সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহিতার জায়গাও দুর্বল। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর যদি জিআই না করি, তাহলে আমরা কোনোদিনই নিজেদের পণ্যকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারব না। পণ্যগুলো তালিকাভুক্ত না করে জিআই না করলে, অন্যরা নিয়ে নেবে। যখন হয়ে যায় বা অন্যদেশ নিয়ে যায় তখন আমাদের ঘুম ভাঙে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত