বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি, যার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ১০৫টিতে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭টিতে ভাইস-চ্যান্সেলর ও ৩৪টিতে ট্রেজারার পদ শূন্য রয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করা হয়। ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ৫ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৯৮১টি পদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে ৭৯ জন সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শূন্য পদ পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৮ হাজার ৯৬৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলো ২ হাজার ৪০৬টি এবং মাধ্যমিক হলো ১৬ হাজার ৫৬২টি। নিম্ন মাধ্যমিকে কর্মরত প্রধান শিক্ষক হলেন, এক হাজার ৫২০ জন। আর শূন্য পদের সংখ্যা হলো ৮৮৬টি। অন্যদিকে, মাধ্যমিকে কর্মরত প্রধান শিক্ষক হলেন ১২ হাজার ২৬৪ জন। এখানে শূন্য পদের সংখ্যা হলো চার হাজার ২৯৮টি। দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা হলো ১৩ হাজার ৭৮৪ জন। আর শূন্য পদের সংখ্যা হলো পাঁচ হাজার ১৮৪টি। তিনি জানান, পাঁচ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের মধ্যে এক হাজার ৯৮১টি পদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পদোন্নতি প্রদানের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা হয়। ২০২৩ সালে ৭৯ জন সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তী শূন্য পদ পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (ষষ্ঠ-দশম) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
