ঢাকা ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাবির বাজেট ৯৪৫ কোটি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাবির বাজেট ৯৪৫ কোটি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিকাল থেকে চলমান বাজেট অধিবেশনে তিনি চলতি অর্থবছরের বাজেট ও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন জানান, নতুন অর্থবছরে বাজেটের আকার কমেছে। তবে এবার গবেষণা খাতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ১২ শতাংশ যা গত দুই অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পাশাপাশি উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বেতন-ভাতায় বরাদ্দ বেড়েছে। বেতনে খরচ দেখানো হয়েছে ২৯৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩১.৬৫ শতাংশ। বিভিন্ন ভাতা বাবদ ২১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং পণ্য ও সেবা খাতে ২২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে যা যথাক্রমে বাজেটের ২৩.১২ শতাংশ ও ২৩.৩৩ শতাংশ, অর্থাৎ বাজেটের ৭৮ শতাংশই এই খাতগুলোতে ব্যয় হবে। গত বছর এসব খাতে ৭৬ শতাংশ খরচ দেখানো হয়েছিল। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেটে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা আয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান থেকে, যা মোট আয়ের ৮৫.১১ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় দেখানো হয়েছে ৯০ কোটি টাকা (বাজেটের ৯.৫২ শতাংশ), যা গতবার ছিল ৮৫ কোটি টাকা। ফলে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬০ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৬.৫৮ শতাংশ। এবার ঘাটতি ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৫.৩৭ শতাংশ। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাদ্দ দিয়েছে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ ৩২৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম।

অধিবেশনে অভিভাষণ বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে রাজধানীর পূর্বাচলে বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল গড়বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি সম্পর্ক জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে সেখানে গড়ে তোলা হবে ‘স্টার্ট আপ স্টুডিও।’ উপাচার্য জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে বুকলেট চালু করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ‘ক্যাম্পাস ট্যুরিজম’ নামের বুকলেটে থাকবে ক্যাম্পাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য ও নিদর্শনগুলোর ঐতিহাসিক তথ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত