জাবিতে শিক্ষার্থীকে ছিনতাই ও ধর্ষণচেষ্টায় দুই বহিরাগত গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুজন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই বহিরাগত গ্রেপ্তার হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক নাজমুল হাসান (৩২) সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা, তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার খলিলপুর গ্রাম। আরেক অভিযুক্ত আলামিন (২৮) একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে পালিয়ে যাওয়া আরেকজন আলামিন। আটককৃত দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি নামটি নিশ্চিত করেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার নারী বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা সাথে সাথে ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে অথবা শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন। এ সময় সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করে। অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট দুজনকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা শাখায় হাজির করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রায় তিনঘণ্টা পর রাত দশটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে অভিযুক্তদের নিয়ে আসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি যেহেতু বহিরাগতদের সাথে সংশ্লিষ্ট সেহেতু নিরাপত্তা অফিস বিষয়টি দেখভাল করবে। আমি নিরাপত্তা অফিসকে সাথে সাথে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল জানান, আমি এ ঘটনা জানার পরপরই প্রক্টর মহোদয়কে অবহিত করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশে সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা দেয়ার জন্য কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের মামলা ভিকটিমকেই দিতে হয়।