বায়ুদূষণে ল্যান্ডফিলের মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বায়ুদূষণে ল্যান্ডফিল থেকে নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এতথ্য জানান। সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড থেকে ক্রমাগত মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়ায় রাজধানীর বায়ু দূষিত হয়ে পড়েছে; পরিবেশ দূষণে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি না। জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বায়ু দূষণের প্রধানতম কারণগুলোর অন্যতম হচ্ছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, কলকারখানা ও ইটের ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, এছাড়া নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধূলি দূষণ। বায়ু দূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। মন্ত্রী আরো বলেন, মিথেন গ্যাস নির্গত নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও
বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন-সংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের অপর প্রশ্নের লিখিত জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসরণে কৌশল পরিকল্পনায় বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন প্রকল্প (পরিবেশবান্ধব আধুনিক থারমাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা) গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিনের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, রাজধানীতে আরো হলিডে মার্কেট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঁচটি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু হয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে; গুলিস্তান জিপিও-সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড; সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস-সংলগ্ন কার্পেট গলি; মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান নবাবপুর রোডে।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্থান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরে বাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেট ইত্যাদি মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আর ২৩নং ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধ সেকশন হতে হোসেন উদ্দিন খান প্রথম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকাররা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন। একই প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিয়ন্ত্রিত স্ট্রিট ভেন্ডার পদ্ধতি চালু হয়েছে। শহরের যেসব সড়কে ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকে, সে সমস্ত সড়কে ওই পদ্ধতিতে হলিডে মার্কেট চালু রয়েছে। মন্ত্রী জানান, পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত সবর্দা উন্মুক্ত থাকে। কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝেমধ্যে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল থেকে ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।