রথযাত্রা শুরুর দিন রোববার থাকায় চ্যালেঞ্জ একটু বেশি উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। ঢাকা মহানগরীর এ রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। তিনি বলেন, রথযাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন রথযাত্রা উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নির্দিষ্ট সময়ে রথযাত্রা শুরু ও শেষ করতে রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। সভায় ৭ জুলাই রথযাত্রা ও ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। রথযাত্রায় পিকেট পার্টি, টহল পার্টি, সিসি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল, ডিবি টিম, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম, সোয়াট টিম, বম্ব ডিসপোজাল টিম ও ট্রাফিক পুলিশসহ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে সভায় অবহিত করা হয়। রথযাত্রা নির্ধারিত রুটে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া নামাজ ও আজানের সময় লাউড স্পিকার/মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ব্যাগ-পোটলাসহ রথযাত্রায় অংশগ্রহণ না করা, সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপি কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা। ডিএমপি কমিশনারও তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এবং ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।