২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও সব ধরনের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার ঢাকায় সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩ ও ৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার সব কলেজে একযোগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। তাদের একজন নাহিদ হাসান বলেন, আমরা সবার উদ্দেশে বলতে চাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের জন্য প্রয়োজনে আবারও আন্দোলনে নামব আমরা। দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একযোগে আন্দোলন করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আজ থেকে ৪ জুলাই আমাদের কর্মসূচি থাকবে। আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে আমাদের গণপদযাত্রা শুরু হবে। আমরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে আগে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করব। তারপর একটি নির্দিষ্ট রুটে পদযাত্রা করবো। পেনশন স্কিম প্রত্যয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। কিন্তু আমাদের সেসব সুযোগ-সুবিধাগুলো রয়েছে, যেমন মেডিকেল সেন্টার, হল, লাইব্রেরি, রিডিংরুম এগুলো যেন বন্ধ না হয়। এর আগে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একত্রিত হন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন। এসময় তারা কোটাবিরোধী নানান স্লোগান দেন। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি। সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখার দাবি জানান।