রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) শেখ রাসেল পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডরমেটরি ভবন থেকে আক্তারুজ্জামান (৫০) নামে একজন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই ভবনের ৫ম তলার ৬নং কক্ষের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আক্তারুজ্জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (পিজি) নিউরোসার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর মেডিকেলে পোস্ট গ্রাজুয়েটের একজন শিক্ষার্থী এবং তিন দিন আগে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তিনি আসেন। আক্তারুজ্জামান নীলফামারীর সদর উপজেলার প্রতিভা নীলপাড়া আল হেলাল মসজিদ এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। পুলিশ ও একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রমেক শেখ রাসেল ডরমেটরি ভবনের ৫ম তলার ৬নং কক্ষ থেকে পচা গন্ধ বের হয় এবং দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দরজার তালা ভেঙে চিকিৎসক আক্তারুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে। আক্তারুজ্জামান ইতিপূর্বে ৮বার পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনোভাবেই উত্তীর্ণ হতে পারছিলেন না। তাছাড়া তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। ডা. আক্তারুজ্জামান রমেক থেকেই এমবিবিএস পাস করেন। এ বিষয়ে নিহত ডা. আক্তারুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার জানান, আক্তারুজ্জামান পোস্ট গ্রাজুয়েট পরীক্ষা দেয়ার জন্য রংপুরে এসেছিলেন। তিনি লিভার ও পায়ের ব্যথাসহ কয়েকটি রোগে ভুগছিলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আরিফুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ডা. আক্তারুজ্জামান পোস্ট গ্রাজুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। সকালে ডরমেটরি থেকে জানানো হয়, আক্তারুজ্জামানের রুম থেকে গন্ধ আর রক্ত আসছে। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে জানাই। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দরজার তালা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করে কিছু বলা যাচ্ছে না।