বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় যমুনা নদীর তীরে সোলার পার্কের নির্মাণ প্রকল্প কাজ শেষ হয়েছে। এ নির্মিত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে এ বিদ্যুৎ এখনো বাণিজ্যিকভাবে বিপণনে যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের এনডব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড) ও চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন) যৌথভাবে ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সিএমসির ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ সাংবাদিকদের বলেন, যমুনা নদীর তীরে পতিত জমিতে বাংলাদেশ ও চীনের ওই দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়া হয়। এরপর ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পিপিএ ও আইএ স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও ৩০ জুন থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এবং জাতীয় গ্রিডে গেলেও ওই কোম্পানি এখন মূল্য পাচ্ছে না। তবে নিরবচ্ছিন্ন ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেই বাণিজ্যিক বিপণনে যাবে। ওই প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি এবং নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে রেডি অ্যাবিলিটি রানে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পিডিবির কাছে বিক্রি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
