প্রথম পরীক্ষার দিন বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা পেছাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এই আবেদন করেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। আবেদনটি সরকারি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে চিঠি পাঠান। আবেদনে মনির উদ্দিন বলেন, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ২০২৪ সালের এইজএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা প্রথম পরীক্ষার দিনই কাকভেজা শরীর নিয়ে তিন ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আবার দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা দিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন অংশ বন্যা আক্রান্ত, তাছাড়া বাকি অনেক অংশের নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যার কারণে অভিভাবকসহ অনেকে তাদের সন্তানদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে বা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাই তাদের পরীক্ষা বর্ষাকালের পরে বা দুই মাস পরে নিলে আর সমস্যা থাকার কথা নয়। বন্যাকবলিত সব স্থানে পরীক্ষা স্থগিত আছে, তারাসহ সবাই একযোগে পরীক্ষা দিতে পারবে।
আবেদনে তিনি বলেন, তাই আপনি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অনেক উপকার হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা পেছানোর জন্য আন্দোলন করলেও তাদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনে আপনারা কোনো কর্ণপাত করেননি। তারা তাদের আন্দোলনে বলেছিল জুন-জুলাই মাসে দেশে বৃষ্টি বেশি হয় (বন্যা হয়)। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত এই প্রমাণ করে তাদের প্রতি কী পরিমাণ অবিচার করা হয়েছে, যে তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেনি। এখন যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা এখন পরীক্ষার্থী না হয়ে অসুস্থ রোগী হয়ে পড়ছে শুধু আপনাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী যদি অসুস্থ হয়ে মারা যায় তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। কারণ আপনাদের সিদ্ধান্তের কারণে তারা আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত। আবেদনে তিনি বন্যাকবলিত প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের বর্ষার পর বাকি পরীক্ষা একযোগে গ্রহণ করার দাবি জানান।