পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে যমুনার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবার সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যমুনার অভ্যন্তরে পাট, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী উল্লেখিত ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তবে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড যথা সময়ে চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর এলাকার যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন না করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেছেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও শুরু হয়েছে। এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তবে আরো ৩-৪ দিন যমুনার পানি বাড়বে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।