মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীর টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মালয়েশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠায়। তাদের কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেনি। আমরা এগুলো নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সঙ্গে বসেছি, তাদের মতামত জানতে যে তারা টাকা নিলো; কিন্তু পাঠাতে পারল না। এই টাকার কী হবে তাদের কাছে জানতে চেয়েছি গতকাল বুধবার। তারা সবাই সম্মত হয়েছে, যে প্রমাণ সাপেক্ষে যার কাছ থেকে যত টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। এই একটি ধাপে আমরা মোটামুটি এগিয়েছি। তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমরা চেষ্টা করছি গরিব মানুষের টাকাটা ফেরত দেওয়ার। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলেছি। এই সময়ের মধ্যে যে টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর পরে গিয়ে অন্য ব্যবস্থা। প্রথমে টাকা উদ্ধার হোক! প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকা ফেরত পাওয়ার পর আগামীতে যখন মালয়েশিয়া কর্মী নেবে তখন অগ্রাধিকার তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ মাসের শেষে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে, সেখানে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর রাস্তা আবার উন্মুক্ত হবে। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে দেখি কী পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়, যারা দিতে ব্যর্থ হবে কিংবা অনিহা প্রকাশ করবে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছি সেটিও আপনারা জেনে যাবেন। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ার যারা নিয়োগকর্তা তারাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিমান্ড দিতে দেরি করেছে। অনেকে আবার ভিসা পেয়েছে দেরিতে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য কর্মীর টাকা ফেরত দেওয়া এবং তাদের আবার মালয়েশিয়া হোক কিংবা অন্য দেশে হোক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।