মতিউর পরিবারের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন। ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে বরিশালের মূলাদী উপজেলায় মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মরজাল ইউনিয়নের মরজাল মৌজায় মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ৫২২.৫২ শতাংশ জমি, তাদের ছেলে আহমেদ তৌফিক অর্নবের নাম ২৭৫.৮৭৫ শতাংশ জমি ও মেয়ে ফারহানা রহমান ইপ্সিতার নামে ১০৬.৫৬ শতাংশ জমি। চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় একটি ফ্ল্যাট, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি ও বসুন্ধরা আবাসিকে একটি এবং ফারহানা রহমান ঈপ্সিতার নামে বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন আবেদনে উল্লেখ করেন, নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং-ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, এই অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।