ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির শাস্তি দাবি

মহিলা পরিষদ
এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির শাস্তি দাবি

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামে তালাক দেওয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনায় জড়িতের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিবরণে বলা হয়েছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামে তালাক দেওয়ায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৭ সালে ব্রাহ্মণজাত গ্রামের হাফসা আক্তারের সঙ্গে মাসকা ইউনিয়নের মাসকা গ্রামের হুমায়ুন কবির বাকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়েই হুমায়ুন হাফসাকে নির্যাতন করত। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে গত ৪ জুলাই হাফসা স্বামীকে তালাক দেন। এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমায়ুন গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাফসার মুখে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে হাফসার মুখমণ্ডল ও শরীর এসিডে ঝলসে যায়। মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। ঘটনার শিকার নারীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে। এছাড়া ঘটনার শিকার নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। এসিড সহিংসতার ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে। এসিডের সহজলভ্যতা বন্ধ করাসহ এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়নের দাবি করছে। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত